ঢাকা ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫২ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২১
সখীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার প্রায় ২০০ বিঘা অকৃষি বা পতিত জমিতে মৌসুমি ও বারমাসি জাতের সজিনার চাষ হয়েছে। এক সময় বাড়ির আশপাশের সীমানায় সজিনার গাছ লাগানো হতো। তবে সময়ের পরিক্রমায় এবং বাজারে চাহিদা থাকায় কৃষকরা এখন ফসলি জমিতেও সজিনার চাষ করছেন। পরিকল্পিতভাবে সজিনার চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সজিনা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় বলে জানা যায়। মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি সজিনা ১০০-১৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও শেষ সময়ে দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৫-২০ টাকায়।
উপজেলার কীর্ত্তন খোলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শামছুল হক বলেন, আমার বাড়ির সামনে রাস্তার দুই ধারে ও উঠানে ছোট বড় ৪টি সজিনার গাছ আছে।গত বছর ওইসব সজিনার গাছ থেকে প্রায় ৪ হাজার টাকার সজিনা বিক্রয় করেছিলাম। আশা করছি , এবার আরো বেশি টাকার সজিনা বিক্রয় করতে পারবো।
উপজেলার কচুয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান,আগে বাড়িতে খাবার জন্য সজিনা গাছ লাগাতাম। গত কয়েক বছর হলো বাড়িতে খাবারের পাশাপাশি সজিনা বাজারে বিক্রি করছি। এবার গাছে প্রচুর সজিনা ধরেছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ভালো সজিনা পাবো।
সখীপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সজিনার মাতৃগাছ থেকে ডাল সংগ্রহ করে চারা রোপণ করান হয়। সজিনার তেমন কোন রোগ-বালাই নেই এবং সজিনার চাষের খরচ নেই বললেই চলে। তিনি আরোও জানান, এটি একটি লাভজনক ফসল এবং এটির ঔষধি গুনাগুনও আছে। অনেক জটিল রোগে সজিনার পাতা ও গাছের নানা অংশ ব্যবহার করা হয়। তাই বারো মাসি সজিনা চারা উৎপাদনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তুহিন সিদ্দিকী
মানবতার ফেরিওয়ালা
এম জাকির হোসেন
যোগাযোগ: মনির উদ্দিন কমপ্লেক্স, উপজেলা রোড, সখীপুর, টাঙ্গাইল।
মোবাইল :০১৯১২-৬৩৫৯১৭ ইমেইলঃ newsjagosakhipur@gmail.com
মোখলেছুর রহমান যায়েদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, জজ কোর্ট, ঢাকা
* বার্তা সম্পাদক : মোঃ রাহমাতুল্লাহ
© জাগো সখীপুর এ প্রকাশিত লেখা কপি করা নিষেধ