সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২১

সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের সখীপুরে  বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রুমি আক্তারের উপর  যৌতুক লোভী স্বামীর  নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নির্যাতনকারী  স্বামী স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমানের শাস্তির দাবিতে  মানববন্ধন করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। আজ মঙ্গলবার পৌর সভার মোখতার ফোয়ারা চত্বরে সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হয়ে ঘন্টা ব্যাপি  এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে  উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা  আবু হানিফ আজাদ, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী সিকদার,সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ও গনি,সাবেক ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল্লাহ মিয়া, নির্যাতিতা রুমির বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান,  মুক্তিযোদ্ধা সন্তান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম কাজী বাদল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড  কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক, কামরুল হাসান আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এতে উপজেলার তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তান কাউন্সিলের নেতাকর্মী  অংশ নেন।  এ ঘটনায় ওই স্কুল শিক্ষককে স্কুল পরিচালনা কমিটি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

 জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমির আক্তরের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমির বাবা মেয়েকে চার ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরের বছর মিজানুর একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। জামাতাকে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেন ওই বীরমুক্তিযোদ্ধা। ২০১৭ সালে রুমির গর্ভে কন্যাসন্তান আসে। অস্ত্রোপচারের জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন মিজানুর। দুই বছর আগে চাকরিতে সমস্যার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে আরও ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন তিনি। চার মাস ধরে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে স্ত্রী রুমিকে নির্যাতন করে আসছিলেন মিজানুর। না দেওয়ায় কিছুদিন আগে মিজানুর তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন।

প্রসঙ্গত:  গত ৯ জুন বুধবার সখীপুর থানায় রুমি আক্তার বাদী হয়ে স্বামী মিজানুর রহমানকে  একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে  মামলা করলে পুলিশ মামলার তিন ঘন্টার মধ্যে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার ও আসামিসহ টাঙ্গাইল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget