লকডাউন শিথিল সখীপুরে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

প্রকাশিত: ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২১

লকডাউন শিথিল সখীপুরে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

 

এম জাকির হোসেন:

সখীপুরে লোকে-লোকারণ্য পশুর হাট ও শপিং মল। দেখলেই চোখ আটকে যায়। হাজার হাজার মানুষের সমাগম। কারও মুখে মাস্ক নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা ভিড় করছেন বাজারে। আছে উৎসুক জনতাও। এমন দৃশ্য গতকাল চোখে পড়লো সখীপুরের একটি পশুর হাট ও শপিং মলে। লকডাউন শিথিল। এই অবস্থায় পশুর হাট এবং শপিং মল স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে সখীপুরে। সখীপুরে বিভিন্ন দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মলে কোনও নিময়-বিধির তোয়াক্কা না করে পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। ছোট-বড় সকল মার্কেট, শপিং মল, ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতাদের চাপের কারণে কোথাও স্থির হয়ে কয়েক মিনিট দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। পণ্য ক্রয় করার পর সিরিয়াল ধরে টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে সব দোকানে। মার্কেটগুলোতে মুখে মাস্ক পরা ছাড়া, অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই কোথাও। জনসমাগম বাড়লে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ফের লাগামছাড়া হতে পারে-বিশেষজ্ঞদের এই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেই চলছে ঈদের কেনাকাটা।

 

 

সখীপুর উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে। শিশুদের মার্কেটে না আনার আহবান জানালেও আদতে কোন ফলাফল বাস্তবে পরিলক্ষিত হয়নি। শুক্রবার (১৬ জুলাই) সরেজমিনে পৌরসভার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে ক্রেতাদের কেনাকাটাও লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতাদের সাধ্য অনুযায়ী যে যার মত মার্কেট ও ব্রান্ডের দোকানে ভিড় করেছেন। মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ঈদ আনন্দ উদযাপনের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। কেউ কিনছেন নিজের জন্য আবার কেউবা আত্মীয়-স্বজন বা প্রিয়জনের জন্য।

 

 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেষ সময়ে ঈদ বাজার জমে ওঠায় তারা খুশি। গত বছর ঈদে করোনা ও লকডাউনের জন্য দোকান পুরোপুরি বন্ধ থাকায় যে লস হয়েছিল এবার পুরোপুরি পুষিয়ে নিতে পারছেন তারা। করোনার প্রভাব বাড়ার পর আবার কিছুটা কমে আসায় ও গণপরিবহন খুল দেয়ায় আশানুরূপ বেচা-কেনা করতে পারছেন বিক্রেতারা। মার্কেটগুলোতে প্রবেশকালে জীবাণুনাশক হাতে দেয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক আছে। তবে অনেকে এখনও মাস্ক পরছেন না। মাস্ক পরার প্রবণতা বাড়লেও একেবারেই উপেক্ষিত সামাজিক দূরত্ব। প্রতিটি দোকানে দেখা যায় প্রচুর ভিড়। ভিড় দেখে অনেকে ক্রেতাকে বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আর বিক্রেতারা বলছেন তারা যথা সম্ভব ক্রেতাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা করছেন। শিশুদের মার্কেটে নিতে নিষেধ করা হলেও তা মানছেন না ক্রেতারা। দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার কথা থাকলেও এসব মার্কেট-শপিংমলে তা দেখা যায়নি। কেনাকাটার তোড়জোড়ে ক্রেতা-বিক্রেতা কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ দোকানই ছিল মানুষে ঠাসা।

 

সখীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল মুঠো ফোনে জাগো সখীপুরকে বলেন, মাস্ক বাধ্যতামূলক সখীপুর উপজেলার প্রত্যেকটি পশুর হাট ও শপিংমল মার্কেটের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক স্প্রে করা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।