ঢাকা ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
বর্ষার পানির প্রবল স্রোতে টাঙ্গাইল শহররক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের পাছ বেথইর এলাকায় বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে শহরে পানি ঢোকার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের পাছ বেথইর এলাকায় পৌংলী নদী ঘেঁষে শহররক্ষা বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দেয়। এ ছাড়া আশপাশের কয়েকটি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের চোখে ঘুম নেই। যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে বাঁধটি। এ জন্য চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে হাজারো মানুষ। তারা বাঁধটি রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান সরকার বলেন, ‘কয়েক বছরে পাছ বেথইর এলাকায় প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে সম্প্রতি বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন শুরু হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ। বাঁধটি ভেঙে গেলে টাঙ্গাইল শহরে পানি ঢুকবে। বাঁধ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু রাজকুমার বলেন, ‘বিভিন্ন সময় নদী খননের নামে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। বালু উত্তোলনের কারণে প্রতি বছর নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এ জন্য অনেক মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এ বছর শহররক্ষা বাঁধেও ভাঙন শুরু হয়েছে। বাঁধরক্ষায় বিভিন্ন সময় সমন্বয় মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। ভাঙনের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানেন। তারপরও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এই মুহূর্তে ব্যবস্থা না নিলে বাঁধটি ভেঙে শহরে পানি ঢুকতে পারে। তাই ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছিল। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঢাকায় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তুহিন সিদ্দিকী
মানবতার ফেরিওয়ালা
এম জাকির হোসেন
যোগাযোগ: মনির উদ্দিন কমপ্লেক্স, উপজেলা রোড, সখীপুর, টাঙ্গাইল।
মোবাইল :০১৯১২-৬৩৫৯১৭ ইমেইলঃ newsjagosakhipur@gmail.com
মোখলেছুর রহমান যায়েদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, জজ কোর্ট, ঢাকা
* বার্তা সম্পাদক : মোঃ রাহমাতুল্লাহ
© জাগো সখীপুর এ প্রকাশিত লেখা কপি করা নিষেধ