সখীপুরে বই বিক্রেতাদের মুখে হাসি

প্রকাশিত: ২:১২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২১

সখীপুরে বই বিক্রেতাদের মুখে হাসি

 

এম জাকির হোসেনঃ

করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি কয়েক দফায় অফিস-আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ করা হয়। এই দীর্ঘসময়ে এক প্রকার বন্ধই ছিল বই বিক্রি। চরম সংকটের মধ্যদিয়ে গেছে দেশের বৃহৎ এই প্রকাশনা শিল্প। লাভ-লোকসানের মধ্যদিয়ে বইমেলা আর চাকরির পরীক্ষার বই বিক্রি করে হামাগুড়ি দিয়ে চলছিল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো। কর্মী ছাঁটাই, ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীনও হয়েছেন প্রকাশনা সংস্থার মালিকরা। তবে দেশে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় এবং গণটিকা প্রদান কর্মসূচি চালু হওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সবকিছু। সেই সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় বেচাকেনা বেড়েছে বই বিক্রিতাদের। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভিড় বেড়েছে লাইব্রেরি, স্টেশনারিগুলোতে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লাইব্রেরি আর প্রকাশনীগুলোতে চলছে বই বেচাকেনা। স্টেশনারিগুলোতে পড়াশোনার আসবাবপত্র কিনতে দেখা গেছে অনেককে।

 

বুলবুল লাইব্রেরির মো. রফিকুল ইসলাম জাগো সখীপুরকে বলেন, স্কুল-কলেজ খোলায় কিছু কাস্টমার (ক্রেতা) আসছেন। করোনাকালে আমাদের কোনো বেচাকেনাই হয়নি। তাছাড়া স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় কাস্টমার পাইনি। এখন কিছু বেচাকেনা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি পুরোপুরি খুলে দেওয়া হয় তাহলে বেচাকেনা বাড়বে। এখন স্কুল-কলেজ খোলায় নোট, গাইড বিক্রি হচ্ছে। তবে জানুয়ারির দিকে ভালো বেচাকেনা হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন আর বন্ধ না হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।

রহমানিয়া লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী মো. জুয়েল রানা জাগো সখীপুরকে বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেচাকেনা হয়নি। শিক্ষার্থীরা গত দেড় বছরে অনেকটা অনলাইনে বই কেনায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সরাসরি লাইব্রেরিতে এসে বই কম কেনে। স্কুল-কলেজ তো পুরোপুরি খোলেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শ্রেণি, বিভাগ যখন খুলে দেবে, সকল পরীক্ষা শুরু হবে, তখন বই বেচাকেনা হবে। করোনাকালে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবে না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন নিয়মিত খোলা থাকে সেটাই চাই।

জাগো সখীপুর / এম

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget