রেজাউল করিম:
আসছে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন। ভোটের আগে আলোচনায় আসে প্রার্থীর পেছনের ইতিহাস। সবাই প্রার্থীর কাছে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি চায়। এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। সবাই চায় জন্ম নিবন্ধনের নিশ্চয়তা। হয়রানি মুক্ত জন্ম নিবন্ধন।
অধিকাংশ ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্রে দেশের নাগরিকরা হয়রানি হচ্ছে। এমন একজন মানুষ নাই, যে এই সেবা পেতে হয়রানি না হয়েছেন।
দিনের পর দিন ঘুরতে হয় পরিষদে। ছ’মাস, বছর ঘুরেও সমস্যার সমাধান হয়নি এমন ভুক্তভোগী সমাজে অসংখ্য। তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে কোন স্পষ্ট ধারনা পাননা গ্রাহকরা। আজ না কাল আসুন। নেট নাই। চেষ্টায় আছি। বাড়ি যান, রাতে করে রাখবো। এসব কথা শুনতে শুনতে অনেকেই সেবা কেন্দ্রে যাওয়া বাদ দিয়ে দেয়।
জন্ম নিবন্ধন, সংশোধন ও মৃত্যু সনদে এমন হয়রানি হয়ে থাকে। এসব বিষয়ে নির্ধারিত ফি থাকার পরও নানা ওজুহাতে গ্রাহকরা হয়রানি হয়ে থাকে। অনেক সময় সরক
আপনি যদি কাওকে প্রশ্ন করেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন সুবিধা পেতে চান? সবাই এক বাক্যে উত্তর দিবে জন্ম সনদে হয়রানি মুক্ত হতে চাই।
সবার অভিযোগ সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও কোন না কোন কাগজ ঘাটতির ওজুহাতে গ্রাহকদের হয়রানি করা হয়। পরিস্কার করে বলাও হয় না, তার সমস্যার সমাধান হবে কি না ? না কি, হবে না। কখনও কখনও জেলা উপজেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমুতির অযুহাত দেখানো হয়।
কখনো সমস্যার সমাধান হয় না। নির্ধারিত ফির অনেকগুন বেশি ফিঃ দিয়ে কাজ সারতে হয়। পুরো জাতি জানে এই সেবা কেন্দ্র থেকে কতোটা হয়রানি হতে হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরাও হয়রানি রোধে কোন পদক্ষেপ নেন না। এই একটি কারনেই সাধারণ ভোটাররা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মকান্ডে অসন্তুষ্ট।
এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের দাবি, যে জন্ম নিবন্ধনে হয়রানির রোধের নিরাপত্তা দেবে, ভোট তাকেই দেয়া হবে। আগে নিবন্ধনের নিশ্চয়তা, তারপর ভোট।