ঢাকা ২৯শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২১ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
লেখক : এনায়েত করিম বিজয়
এনায়েত করিম বিজয় : জমি নেই বলে চাকরি হবে না। এমন আইনের কথা এই প্রথম শুনলাম। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সকল ধাপ অতিক্রম করেও আসপিয়া নামের এক বোনের পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি হচ্ছে না। এমন ঘটনা দেশে এই প্রথম আলোচনায় এলো।
দরিদ্র হওয়া কোনও অপরাধ নয়? জমি না থাকাটাও অপরাধ নয়, তাহলে কেন চাকরি হবে না। এমন আইন কেনই বা করা হলো। এমন আইন আমরা চাই না। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মেধাবীদের মধ্যে দরিদ্রদের বাছাইয়ের তালিকায় প্রাধান্য দেওয়া উচিত। তা না হলে দেশে দরিদ্র থেকেই যাবে। আজ কেন আসপিয়ার এমন পরিস্থিতিতে পরতে হলো? এটার জন্য দায়ী কে? আমরা বেঁছে বেঁছে সমাজের ধনীদের দাওয়াত দিই। শুধু তাই না তৈলের মাথায় তৈল দিই। অসহায় ও দরিদ্রদের কখনও খবরও রাখি না। কেন আসপিয়ার জমি নেই, এটা কেউই খোঁজখবর নিইনি। কত অসহায় হলে মানুষ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয়, এটা অট্টলিকায় বসবাস করে কখনও বোঝা যাবে না। জমি না থাকায় অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া আসপিয়ারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরও পেলো না, তাহলে পেলো কে? আসপিয়া ইসলাম জানতে পারেন- চাকরিটা হচ্ছে না। এই খবর পেয়ে আসপিয়া দ্রুত ছুটে যান ডিআইজি এসএম আকতারুজ্জামানের কার্যালয়ে।
জানতে চান, সব ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কেন তার চাকরি হবে না। ডিআইজি জানান, নিজেদের জমি না থাকলে চাকরি দেওয়ার আইন নেই। এরপর ভাঙা মন নিয়ে পুলিশ লাইনের সামনে বসে থাকেন আসপিয়া। আসপিয়া ইসলাম প্রায় ১৫ বছর ধরে বরিশালের হিজলা উপজেলার খুন্না-গোবিন্দপুর গ্রামের একজনের জমিতে আশ্রিত হিসেবে থাকছে তার পরিবার। বাবা সফিকুল ইসলাম মারা গেছেন। পরিবারে মা, তিন বোন ও এক ভাই। ভাই পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার আয় দিয়েই চলে সংসার। আসপিয়া চাকরি পেলে হয়তো দেশ থেকে একটি পরিবার দরিদ্রমুক্ত হতে পারে। তাই আইনটি সংশোধন করে আসপিয়াকে চাকরি দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
লেখক : গণমাধ্যমকর্মী, টাঙ্গাইল।
তুহিন সিদ্দিকী
মানবতার ফেরিওয়ালা
এম জাকির হোসেন
যোগাযোগ: মনির উদ্দিন কমপ্লেক্স, উপজেলা রোড, সখীপুর, টাঙ্গাইল।
মোবাইল :০১৯১২-৬৩৫৯১৭ ইমেইলঃ newsjagosakhipur@gmail.com
মোখলেছুর রহমান যায়েদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, জজ কোর্ট, ঢাকা
* বার্তা সম্পাদক : আশরাফুল আলম শরীফ
© জাগো সখীপুর এ প্রকাশিত লেখা কপি করা নিষেধ