সখীপুরে কৃষিজমি ভরাট ও দখলের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২২

সখীপুরে কৃষিজমি ভরাট ও দখলের প্রতিবাদ

সখীপুর প্রতিনিধি

সখীপুরে কৃষি জমি ভরাট ও দখলের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় সখীপুর-সাগরদীঘি সড়কের কালিয়া ঘোনারচালা এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান লাবীব গ্রুপের বিরুদ্ধে তিন ফসলি কৃষি জমি ভরাট ও দখলের অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে শতাধিক কৃষক অংশ নেন। এ সময় ওই সড়কের দুপাশে শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

 

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, লাবীব গ্রুপ নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান কালিয়া ঘোনারচালা গ্রামে সখীপুর-সাগরদীঘি সড়ক ঘেঁষে ৩৫ একর কৃষি জমি কেনে। এর মধ্যে লাবীব গ্রুপের আলমগীর নগর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ফজলুল হক বাচ্চু ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ৬ থেকে ৭ একর জমি কিনে দখল করেন। এ সময় একজনের নামের জমি অন্যজনের কাছ থেকে লিখিতভাবে ক্রয় দেখিয়ে জোরপূর্বক দখলেরও অভিযোগ করেন বক্তারা।

 

এ ছাড়া কিছু জমির মালিক জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের জমিও দখলের পাঁয়তারা করা হচ্ছে। অনেককে মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীরা।

 

আবদুল কাদের দাবি করেন, ‘এখানে আমাদের বেশ কয়েকজন শরিকের নামে ৬ একর ২৯ শতাংশ জমি রয়েছে। যার মধ্যে তিনজনের নামে সিএস রেকর্ড হয়েছে। আমরা ওই সিএস রেকর্ডভুক্ত জমি থেকে কেউ এক শতাংশ জমিও বিক্রি করি নাই। কিন্তু তাঁরা বিভিন্নভাবে ওই জমি জবর দখলের চেষ্টা করছেন।’ একই ধরনের অভিযোগ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা মো. লিয়াকত হোসেন, নুরুজ্জামান, মোশারফ হোসেন, আছিয়া, জয়তন, আমির হামজা ও শফিকুল ইসলাম।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাবীব গ্রুপের প্রতিনিধি ঘোনারচালা আলমগীর নগর রেঞ্জের প্রকল্প পরিচালক ফজলুল হক বাচ্চু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা লাবীব গ্রুপের পক্ষ থেকে গত পাঁচ-ছয় বছরে পর্যায়ক্রমে ওই এলাকায় প্রায় ৩৫ একর জমি কিনেছি। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বৈধ মালিকদের কাছ থেকেই জমি কেনা হয়েছে। আমরা ওই জমি জবর দখল করিনি।’

 

এই কর্মকর্তা উল্টো অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় শাহ আলম ও শফিকুলের কাছ থেকে প্রায় এক একর জমি কিনলেও তাঁরা ওই জমি বুঝিয়ে না দিয়ে মানববন্ধন করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চিত্রা শিকারী বলেন, কারও জমি অন্যায় করে দখল করলে তাঁরা দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে পারবেন। এ ছাড়া কৃষি জমিতে কেউ মাটি ভরাট করলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget