ঢাকা ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২২
সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের সখীপুরে আটক হওয়া মো. আবু বকর (৩৫) নামের এক যুবক হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছে বলে দাবি করছে বন বিভাগের লোকজন। তবে পরিবারের দাবি তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কীর্তনখোলা কামারপাড়া এলাকা থেকে বনবিভাগের লোকজন আবু বকরকে আটক করে নিয়ে আসে। শনিবার সকালে তাঁর স্ত্রী বন বিভাগের কালিদাস বিটে গিয়ে স্বামীকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কালিদাস বিট অফিস ও আবু বকরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কীর্তনখোলা কামারপাড়া এলাকায় মো. বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিনের পুরাতন বাড়িতে একটি ঘর তুলছিল। প্রতিবেশী মো. আবু বকর ওই ঘর নির্মাণে শ্রমিকের কাজ করছিল। কিন্তু ওই জমি নিজেদের দাবি করে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন ঘর তুলতে বাধা দেয়। এ সময় ওই বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেলেও আবু বকরকে হাতকড়া লাগিয়ে বন বিভাগের কালিদাস বিটে নিয়ে যায়।
আবুবকরের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত তিনটার সময় আমার স্বামীকে হাতকড়া লাগিয়ে বন বিভাগের লোকজন তুলে নিয়ে যায়। শনিবার সকালে আমার ভাসুরকে সঙ্গে নিয়ে কালিদাস বিট অফিসে গিয়ে স্বামীকে খোঁজে পাইনি। জানতে চাইলে বিট অফিসের লোকজন জানায়, তোমার স্বামী পালিয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার স্বামী ঘটনাস্থল থেকে দৌড় দিতে সাহস পায়নি, তিনি বিট অফিসের ঘর থেকে কিভাবে পালিয়ে যাবেন? বিকেল থেকে বারবার ফোন করার পর শনিবার সন্ধ্যায় কালিদাস বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আবু বকরকে পেলেই থানায় হস্তান্তর করা হবে।
বন বিভাগের হতেয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ বলেন, আমি ছুটিতে বাড়ি আছি। তবে শুনেছি, আটক করা আবু বকর রাতের বেলায় পালিয়ে গেছে। এখন তার পরিবারের লোকজন নিখোঁজের মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, এ বিষয়ে বন কর্মকর্তা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তুহিন সিদ্দিকী
মানবতার ফেরিওয়ালা
এম জাকির হোসেন
যোগাযোগ: মনির উদ্দিন কমপ্লেক্স, উপজেলা রোড, সখীপুর, টাঙ্গাইল।
মোবাইল :০১৯১২-৬৩৫৯১৭ ইমেইলঃ newsjagosakhipur@gmail.com
মোখলেছুর রহমান যায়েদ, শিক্ষানবিশ আইনজীবী, জজ কোর্ট, ঢাকা
* বার্তা সম্পাদক : আশরাফুল আলম শরীফ
© জাগো সখীপুর এ প্রকাশিত লেখা কপি করা নিষেধ