সখীপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা,সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো রেজাউল করিম রিপনের মতো মানবিক পুলিশ অফিসার।
যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরও সাধারণ মানুষের খোঁজ নেয়া কয়জনই বা করার সুযোগ পান। কথাগুলো যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি হলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রিপন । বর্তমানে তার নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছেন সখীপুর থানা পুলিশের সদস্যরাও।
তিনি শুধুমাত্র থানার পুলিশদের জন্য কাজ করে ক্ষ্যান্ত হননি। তিনি নিরলসভাবে সখীপুর উপজেলার অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন একইভাবে তিনি তাঁর অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন।
শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্যদের। ভালোবাসায় মুগ্ধ হন সাধারণ মানুষও।
এই মানবিক ওসির নিজ এলাকা ইশ্বরগন্জ উপজেলার ষাটোর্ধ মুরুব্বি আঃলতিফ বলেন, পুলিশ অফিসার রিপন আমাদের আবেগের ঠিকানা।
গত শনিবার থানায় আসা এক বৃদ্ধ মায়ের সাথে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, সম্প্রতি আমার বাড়ির একটা সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। আমার সন্তানেরা ভরণপোষণ করে না। সমস্যা সমাধানে স্যারের আন্তরিকতার কোন অংশে কমতি ছিল না। আমার দেখা পুলিশ অফিসারের মধ্যে সেরা এই স্যার।
যদি বলি একজন মানবিক অফিসার, যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার, যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ, সব বিশেষণ স্যারের সঙ্গে মিশে আছে। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেমেয়েরা এখন আমার খোঁজ খবর নিচ্ছে। তাছাড়া উপজেলার উঠতি বয়সের ছেলে -মেয়েদের বিভিন্ন ভাবে কাউন্সিলিং করে আদর্শবান হওয়ার আহ্বান করছে।
সখীপুর উপজেলার নানান প্রান্তের মানুষের সুবিধা -অসুবিধার খবর নিয়মিত রাখছে।
অন্যদিকে সখীপুর থানায় যোগদান করার পর ব্যতিক্রম বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন তিনি। সখীপুর থানা এলাকায় ছাত্র, তরুণ এবং যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে টিকটক চুলের কাট পরিহার করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন ও সমিতির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সখীপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওসি স্যারের অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলাবাসীর কল্যাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া সুপার হিরো আমাদের অভিভাবক রেজাউল করিম রিপন স্যার। স্যারের নির্দেশনা পালনে সব সময়ই প্রস্তুত। তার অনুপ্রেরণাই কাজের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে সহায়তা করে।
এবিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রিপন বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সাড়িতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি সখীপুর উপজেলা বাসীর জন্য কাজ করবো।
একজন সাধারণ মানুষ যখন আইনের সেবকদের কাছে ন্যায় বিচার পাবে ঠিক তখনি মানুষের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জেগে উঠবে।
আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।
এসময় তিনি আরও জানান, আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি সে উন্নত বাংলাদেশের আমরাই হবো উন্নত পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেজাউল করিম রিপন ৯৮ ব্যাচে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। মানবিক এই অফিসারের শৈশব কেটেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মমরেজপুর গ্রামে।
রেজাউল করিম রিপন মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় অল্পদিনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, ভবিষ্যতেও পুলিশ এমন মানবিক আচরণ করবে সাধারণ মানুষের সাথে।