এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কালিয়ান গ্রামে স্থানীয় ফুটবল খেলায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করা বখাটেরা তাঁর ওপর দুই দফা হামলা চালায়।
নিহত মাজহারুল উপজেলার কালিয়ান গ্রামের দক্ষিণপাড়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে। এ ছাড়া তিনি টাঙ্গাইলের সরকারি সাদত কলেজের অনার্স (সম্মান) প্রথম বর্ষের অধ্যয়নরত ছিলেন। এ ঘটনায় গত শনিবার মাজহারুলের বাবা আবদুল মালেক সখীপুর থানায় মামলা করেছেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে কালিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় বিবাহিত বনাম অবিবাহিতদের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। এ সময় কালিয়ান দোহানিয়াপাড়া এলাকার কয়েকজন বখাটে খেলা দেখতে আসা মেয়েদের নানাভাবে উত্ত্যক্ত করছিল। মাজহারুল এতে বাধা দিলে বখাটেরা ঘটনাস্থলেই তাঁকে কিল, ঘুষি দিয়ে মারপিট করে।
পরে খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথেও ইয়ারুল (১৯), ছাব্বিরসহ (১৮) একদল যুবক দা, রড নিয়ে মাজহারুলের ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালান। স্থানীয়রা মাজহারুলকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মাজহারুলের মৃত্যু হয়।
মাজহারুলের বাবা আবদুল মালেক কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও আমার ছেলেটাকে বাঁচাতে পারলাম না। বখাটেদের হামলায় ছেলেটা অবশেষে মারাই গেল!’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, হামলার ঘটনায় মাজহারুলের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলাতেই ৩০২ ধারা যুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।