সখীপুরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক বদলি চেয়ে অভিভাবকদের লিখিত আবেদন

প্রকাশিত: ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩

সখীপুরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে শিক্ষক বদলি চেয়ে অভিভাবকদের লিখিত আবেদন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে বদলি শিক্ষক ফের একই বিদ্যালয়ে যোগদান করায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ক্ষুব্দ হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলার শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে  এ অভিযোগ দেওয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ইদ্রিস আলীর ব্যক্তিগত ক্ষোভে নিষ্পাপ শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। মধ্যযুগীয় কায়দায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কানে দুই কলম দিয়ে চাপ দেওয়া, দুই শিক্ষার্থীর মাথা ধরে মাথায় মাথায় ডুষাদেওয়া, বেত্রাঘাত তো আছেই।

এমন অভিযোগে গত ১৬ আগস্ট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে হারিঙ্গাচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে দেন। কিন্ত কিছু দিন যাবৎ ফের ওই শিক্ষক পূর্বের স্কুলেই যোগদান করে পাঠদান করছেন। এমন অবস্থায় ওই শিক্ষককের ভয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ, বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্তণ ও কোমলমতি শিক্ষার্ক্ষীদের স্কুলগামী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতিসহ সদস্য  অভিভাবকবৃন্দ।

স্থানীয় আমেনা নামে এক অভিভাবক বলেন, ওই মাষ্টার তো সময় মত স্কুলেও আসেই না। তাঁর নির্যাতনের ভয়ে তামিম, তায়েবা, মামুন মিয়া, আহাদসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে ভর্তি হয়েছে। এই শিক্ষক এই বিদ্যালয়ে থাকলে ছাত্র-ছাত্রী শূন্য কোঠায় দাড়াবে।

শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো.মোস্তাফিজুর রহমান  বলেন, বিভিন্ন অভিযোগে উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তাদের মৌখিক আদেশে অভিযুক্ত শিক্ষক ইদ্রিস আলীকে অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছিল। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে মৌখিক বদলি বাতিল হয়। পরে সে আবার এই বিদ্যালয়ে আসায় এলাকায় অভিভাবকদের মাঝে আবার ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই শিক্ষকের ভয়ে অনেক শিক্ষার্থীই বিদ্যালয়ের আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইদ্রিস আলী তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে আমার মৌনদ্বন্ধে  আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিনয়ে  উপজেলা শিক্ষা অফিসার রাফিউল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে হারেঙ্গার চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছিলো । গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে সকল মৌখিক বদলি বাতিল হওয়ায় তিনি পূর্বের কর্মস্থলেই যোগদান করেন। পূণরায় তার বিরুদ্ধে অভিভাকরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।  তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

Like Us On Facebook

Facebook Pagelike Widget